'কোথায় পাবো তারে' প্রসঙ্গে...
"ভূতের গলির লোকেরা পুনরায় এক জটিলতার ভেতরে পড়ে এবং..."
হয়তো একটি সন্ধ্যা। ভেরি মাচ অ্যাবসার্ড। তারপর একটি গল্প। হয়তো একটিমাত্রই শহীদুল জহির। হয়তো সেই গল্পের নাম 'কোথায় পাব তারে'। আবার সেই ভূতের গলি। শুধু আবার নয়। আবার আবার। এই শহরের নানাবিধ ক্যায়োসের ভীড়ে— ভালো লাগে কেবল শহীদুল জহিরের মহল্লার ক্যায়োস।
বিফোর ডিসকভারিং শহীদুল জহির— আর আফটার রিডিং শহীদুল জহির— এ যেন দুটো ভিন্ন জগৎ। দুটো ভিন্ন আমি, তুমি, আমরা। এই মহল্লার লুপের স্বাদ বড় ভিন্ন।
"... ফলে মহল্লার লোকদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়, সারা দিনের কর্মক্লান্ত দেহ নিয়ে তারা বিছানায় জেগে থাকে, জীবনের ব্যর্থতা এবং অপচয় বোধ তাদেরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয় এবং তারা কেমন বিষণ্ন হয়ে পড়ে; তারা মনে করে যে বেকার থাকাই তো ভালো আবদুল করিমের মতো..."
একজন আবদুল করিম'কে আমরা আর ভুলতে পারি না। আমরা ভাবতে থাকি। আমরা ভাবি আবদুল করিমের জুতার ফিতার জট বুঝি কোনোদিন আর খুলবে না। বা হয়তো খুলবে। তখন আমরা আনন্দ পাবো। এই বুঝি শেপালি'কে দেখতে পাবো আমরা।
যেদিকে হাঁটলে পায়ের তলায় আরাম লাগে, আমরা সেইদিকে হাঁটতে চাই, মনে মনে। বা আমরা যেমন জানি, দুই নারকেলগাছের ফাঁক দিয়ে তাকালে আমরা শেফালি বেগমদের গ্রাম দেখতে পাবো। শেফালিদের গ্রাম যা দেখার, তা দেখা হয়ে যায় আমাদের, নিজেদের মতো করে, প্রত্যেকের। তারপর আমরা মহল্লায় ফিরে আসি ফের।
আমরা ফিরে আসি, বারবার— মহল্লায়। ফিরে আসি এই আশ্চর্য আলাপ শুনতে, "হালারা আলু দিয়া ডাইলপুরি বানায়।"
Comments
Post a Comment